গ্রুপ বদলানোয় ছাত্রলীগকর্মী নিহত
গ্রুপ বদলানোর জেরে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা গেছেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রলীগকর্মী কাজী হাবিব। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় আহত হন হাবিব। রাতে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
ছাত্রলীগের এক গ্রুপ ছেড়ে অন্য গ্রুপে যোগ দেওয়ার কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। হাবিব সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট আসার দু'দিন আগে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হলেন এই ছাত্রলীগকর্মী।
জানা যায়, কাজী হাবিব মহানগর সাধারণ সম্পাদক তুষার গ্রুপের কর্মী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি গ্রুপ বদল করে ছাত্রলীগের তেলিহাওর গ্রুপে যোগ দেন। গ্রুপ বদলের দায়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন হাবিব।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নগরীর মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শামীমাবাদে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে সাগর ও সোহেলের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাবিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। পরে আশপাশের শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সহপাঠীরা জানান, হাবিব সম্প্রতি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার সমর্থিত গ্রুপ ছেড়ে তেলিহাওর গ্রুপে যোগ দেন। এ কারণেই তাঁর ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি হাবিবের সহপাঠীদের।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহিব ইবনে সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ জানান, কাজী হাবিব হোসেনের মরদেহ এখন পুলিশের জিম্মায়। সকালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের পর ঘটনা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।