আদমদীঘির ওসির অপসারণ দাবি যুবলীগের
বগুড়ার সান্তাহারে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা ও শ্রমিক নেতা নিহতের ঘটনায় আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবিরকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে যুবলীগ।
আজ শনিবার বেলা ১২টায় সান্তাহার রেলগেট এলাকায় মানববন্ধন করে এই দাবি জানায় আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগ। এর পাশাপাশি সংঘর্ষে ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন নিহতের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে সাতদিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন নেতারা।
আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান মন্টির সভাপতিত্বে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ ঘটনার আটদিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখনো মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামী ২৩ জানুয়ারি আদমদীঘি উপজেলার রেলপথ, রাজপথ ও সরকারি অফিস আদালত ঘেরাও এবং অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, নিহত যুবলীগ নেতা শফিকুলের ভাই আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম চম্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক নিসরুল হামিদ ফুতু, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।
গত ৮ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে সান্তাহার সিএসডি গেটের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনায় যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, তাঁর ছোট ভাই বাসেদুল ইসলাম বাদশা, সিএনজিচালিত অটোটেম্পো শ্রমিক সোহাগ হোসেনসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাদশাকে রাজশাহী ও সোহাগকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এর একদিন পর ৯ জানুয়ারি শনিবার সকালে সেখানে সোহাগের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত শফিকুলের বড় ভাই নূর ইসলাম ও সোহাগের বাবা আবদুল খালেক বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু, সান্তাহার পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল লতিফ ও জাতীয় পার্টির নেতা সজলকে মামলার আগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের এজাহারভুক্ত করা হয়।