জামায়াতের চার নেতার ফাঁসি, আমৃত্যু কারাদণ্ড এক

জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির চূড়ান্ত রায়ের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে ছয়টি মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর মধ্যে জামায়াতের নীতিনির্ধারণ পর্যায়ের নেতা রয়েছে পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে চারজনকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনজনের ফাঁসি এরই মধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। একজনকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
এ ছাড়া আপিল বিভাগের চূড়ান্ত দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুদণ্ড এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে।
আপিল বিভাগ থেকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়।
এ ছাড়া শুনানি চলাকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতের আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাঁদের আপিলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ছয়টি মামলার মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছাড়া সবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ হলে ওই বছর ১২ ডিসেম্বর তাঁর দণ্ড কার্যকর করা হয়।
ঠিক এক বছর পর আপিলের দ্বিতীয় রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আপিল বিভাগ। সম্প্রতি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।
২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগ তৃতীয় রায়ে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়। পরে ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
২০১৫ সালের ১৬ জুন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির রায়ই বহাল রাখে আপিল বিভাগ। আর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিলের রায় আসে ২৯ জুলাই। গত বছর ২১ নভেম্বর রাতে একই সঙ্গে তাঁদের দুজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়।