ভোট পড়েছে ৭৪ শতাংশ, জানাল ইসি

পৌরসভা নির্বাচনে ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনের মধ্যে আমরা ২১৪টি পৌরসভার ফলাফল একত্রিত করেছি। এ ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৭৩ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে।এ ছাড়া ২১৪ পৌরসভার মধ্যে ১৬৮ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ, ১৯ পৌরসভায় বিএনপি,একটিতে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ২৬টি পৌরসভায় জয়লাভ করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।’ এদের সবাই আওয়াম লীগের প্রার্থী বলে জানান তিনি।
সচিব আরো জানান,২৩৪ পৌরসভার মধ্যে অনিময় ও সহিংসতার কারণে নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ভোট বাতিল করা হয়। বাকি ১৯টি পৌরসভার কিছু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত থাকার কারণে এসব পৌরসভার ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সময়ে ভোট হলে বাকিগুলোর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, এসব পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬০ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৯ জন। এঁদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৪৪ লাখ দুই হাজার ৮৩৫। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯২৫।
গতকাল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দিনভর অভিযোগের মধ্য দিয়েই পৌরসভার ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোট শেষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে দাবি করে।
অন্যদিকে গতকাল দিনব্যাপী বিএনপি নির্বাচনে কারচুপি,কেন্দ্র দখল, জালভোট, কেন্দ্রে প্রবেশে বাধাসহ বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নির্বাচন কমিশনে। শেষ পর্যন্ত দলটি ভোটের ফলাফল বর্জন করেছে।
এ ছাড়া সরকারের শরিক জাতীয় পার্টিও ১৭৬টি ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে।একই সঙ্গে নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে জাপা।
এদিকে, ভোট গ্রহণ শেষে কিছু বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
গতকাল ২৩৪ পৌরসভায় তিন হাজার ৫৫৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত
হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২৩৪, বিএনপি ২২৩ ও জাতীয় পার্টি ৯৫ প্রার্থীসহ ৯৪৫ জন মেয়র পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংরক্ষিত মহিলা ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।