সারা দেশে ভোট গ্রহণ চলছে, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ
সারা দেশে একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র তিন হাজার ৫৫৫টি। তবে কয়েকটি জায়গায় নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সকাল ১০টার মধ্যে দুটি পৌরসভায় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। তবে সকাল পর্যন্ত বেশির ভাগ জায়গায় সুষ্ঠুভাবেই ভোট গ্রহণ চলছে।
শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ ভোটাররা তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। এখানে মোট ১১টি কেন্দ্রের ৭১টি বুথে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ২৪ হাজার ৯৫০ জন। মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : দুই পৌরসভা নগরকান্দা ও বোয়ালমারীর মোট ১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।
এবারের এ দুই পৌরসভার নির্বাচনে নগরকান্দায় সাত হাজার ৫২৯ জন ভোটার ও বোয়ালমারীতে ১৮ হাজার ৯৭৪ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
সাইফুল ইসলাম সজল, যশোর : ছয়টি পৌরসভায় মোট ১২৬টির মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ এ কেন্দ্রগুলোতে ১২ জন করে পুলিশ ও আটজন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া বাকি ২৫টি কেন্দ্রে ১১ জন করে পুলিশ ও আটজন করে আনসার সদস্য রয়েছেন। এর বাইরে পুলিশের ৪৬টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
শাহজাহান সিরাজ মিঠু, জয়পুরহাট : জেলার তিনটি পৌরসভা জয়পুরহাট সদর, আক্কেলপুর ও কালাইয়ের মোট ৩৮টি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তিন পৌরসভায় ১৭ মেয়র, ১৩১ সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রেজ আন উল বাসার তাপস, মেহেরপুর : আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আহমেদ আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম সকাল সাড়ে ৮টার সময় ৪ নম্বর গার্লস স্কুল কেন্দ্রে এবং বিএনপির প্রার্থী ইনসারুল হক থানাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৭ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার আট হাজার ৫৫২ ও নারী ভোর নয় হাজার পাঁচজন।
বিশ্বজিৎ সাহা, নরসিংদী : নরসিংদী সদর, মাধবদী ও মনোহরদী পৌরসভায় ভোট গ্রহণ চলছে। তিনটি পৌরসভায় মোট ভোটার এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৭ জন। তিন পৌরসভার মোট ৫৫টির মধ্যে ৫০টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এ বি এম ফজলুর রহমান, পাবনা : সকাল পৌনে ৮টা থেকে পাবনার শহীদ আহমদ রফিক ভোটকেন্দ্র, পাবনা জিলা স্কুল, দক্ষিণ রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইমাম গাযযালী ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে শত শত মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার কারণে ভোট গ্রহণে সামান্য বিলম্ব হয়।
মঈনুল হক বুলবুল, সিলেট : জেলার গোলাপগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছেন।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান : সদর ও লামা দুটি পৌরসভায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় ১৭৬ পুলিশ সদস্য এবং ২৬০ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে দুই প্লাটুন ৬০ জন বিজিবি সদস্য।
নির্বাচন অফিস জানায়, সদর পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২৬ হাজার ৬৪৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৫০৭ এবং নারী ১১ হাজার ১৪০ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩টি। বুথের সংখ্যা ৭৭টি।
অন্যদিকে, লামা পৌরসভায় ১১ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৩০ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৪১৯ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা নয়টি, বুথের সংখ্যা ৩৯টি।