ইয়াবা ‘পাচারকারীদের’ সঙ্গে গুলি বিনিময়, নিহত ১
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদ সীমান্তের ৩ নম্বর স্লুইচ গেট এলাকায় গতকাল বুধবার গভীর রাতে ইয়াবা ‘পাচারকারীদের’ সঙ্গে বিজিবি সদস্যদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিয়ানমারের নাগরিক মোহাম্মদ দরবেশ (২০) নিহত হয়েছেন বলে বিজিবি জানিয়েছে।
এ সময় মো. সলিমুল্লাহ (১৮) নামের মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৩০ হাজার ইয়াবা, নৌকা ও দুটি লম্বা কিরিচ।
টেকনাফে অবস্থিত বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ট্রলারে করে নাফ নদীতে যায়। সেখানে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান নৌকায় করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। বিজিবির টহল দল নাফ নদের ৩ নম্বর স্লুইচ গেট এলাকায় ওত পেতে থাকে। নৌকাটি বিজিবি টহল দলের কাছে এলে তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। নৌকার যাত্রীরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। জানমাল, অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষার কথা বিবেচনা করে বিজিবির টহল দলের সদস্য হাবিলদার মো. লুৎফর রহমান পাঁচটি গুলি করে। দুজন ইয়াবা পাচারকারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা তখন নৌকায় তল্লাশি করে সলিমুল্লাহ নামের মিয়ানমারের এক নাগরিকের কোমরে বাঁধা অবস্থায় একটি ইয়াবার থলে পাওয়া পান। রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মো. দরবেশ নামের আরেক মিয়ানমারের নাগরিককে। তাঁর কোমরে বাধা ছিল দুটি থলে। এগুলোতে ১০ হাজার করে ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। যার বাণিজ্যিক মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা বলে বিজিবি দাবি করেছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সলিমুল্লাহকে থানায় সোপর্দ করা হয়। গুলিবিদ্ধ দরবেশকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দরবেশকে মৃত ঘোষণা করেন।
দরবেশের লাশ বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে আছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ইয়াবা পাচার-উদ্ধার, গুলি বিনিময় এবং নিহতের ঘটনায় থানায় পৃথক চারটি মামলা করেছে বিজিবি।