মৌলভীবাজার পৌরসভায় লড়াই নৌকা ও ধানের শীষে
মৌলভীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে কনকনে শীত উপেক্ষা করে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা দিন-রাত চালাচ্ছেন প্রচার। এরই মধ্যে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে।
নির্বাচন ঘিরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সর্বত্র। ঝোলানো হচ্ছে নিজের ছবি ও নেতার ছবিসহ দলীয় প্রতীকসংবলিত পোস্টার। ভোটারদের মন জয় করতে নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা সুরে মাইকে গান গাইছেন অপেশাদার শিল্পীরা। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে মৌলভীবাজার পৌর শহরের সর্বত্র। দলীয় প্রতীক নিয়ে এই প্রথম স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে ভিন্ন আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়তন ১০ দশমিক ৪০ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার নয় ওয়ার্ডে নারী-পুরুষ মিলে মোট ভোটার প্রায় ৩৯ হাজার।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা অধীর আগ্রহের মধ্যে রয়েছেন, কে আসছেন নির্বাচিত হয়ে। মেয়র পদে পাঁচজন এবং সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মৌলভীবাজার পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগের মো. ফজলুর রহমান (নৌকা), বিএনপির মো. অলিউর রহমান (ধানের শীষ), ওয়ার্কার্স পার্টির সৌমিত্র দেব, ইসলামী আন্দোলনের মো. মোস্তফা কামাল (হাতপাখা), বাংলাদেশ ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সৈয়দ সুজাত আলী (আম) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত মেয়র পদে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে লড়াই হবে।
১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন তৃষ্ণা রানী পাল (গ্যাসের চুলা) ও দিলারা রহমান (কাঁচি)।
৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জাহানারা বেগম (কাঁচি), রোকশানা আক্তার এ্যানি (ভ্যানিটি ব্যাগ) ও শ্যামলী দাশ পুরকায়স্থ (আঙুর)।
৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জাহানারা বেগম (ভ্যানিটি ব্যাগ), ঝর্ণা আক্তার (রনি) (চকলেট) ও শিল্পী বেগম (কাঁচি)।
১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন পার্থসারথি পাল (উটপাখি), মো. আলম মিয়া (ডালিম), শাহ মোহাম্মদ আলী সাহেদ (টেবিল ল্যাম্প) ও স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী (পাঞ্জাবি)।
২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জমির আহমেদ (টেবিল ল্যাম্প), মো. আসাদ হোসেন মক্কু (উটপাখি) ও মো. দিদার মিয়া (পাঞ্জাবি)।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আবদুর রহিম সোহেল (উটপাখি), খসরুজ্জামান খান (টেবিল ল্যাম্প) ও মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন (পাঞ্জাবি)।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন মনবীর রায় (উটপাখি), মো. মোসাহিদ আলী (গাজর), শিবপ্রসন্ন ভট্টাচার্য (পাঞ্জাবি), সালাম আহমদ জিতু (টেবিল ল্যাম্প) ও সালেহ আহমেদ (পানির বোতল)।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন পেয়ার আহমদ (উটপাখি), ফয়ছল আহমদ (টেবিল ল্যাম্প) ও মো. সিতু মিয়া (পাঞ্জাবি)।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মো. জালাল আহমদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আনিছুজ্জামান বায়েছ (ফাইল কেবিনেট), আমিনুর রশিদ (ব্রিজ), কয়েছ চৌধুরী (ডালিম), মো. জিল্লুল হক (টেবিল ল্যাম্প), শেখ নজরুল ইসলাম মনা (ব্ল্যাকবোর্ড), সারওয়ার মজুমদার ইমন (পাঞ্জাবি) ও সহিদুল ইসলাম (উটপাখি)।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আয়াছ আহমদ (টেবিল ল্যাম্প), সৈয়দ সেলিম হক (পাঞ্জাবি) ও হাসান আহমদ রাজা (উটপাখি)।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন মো. মাসুদ (উটপাখি) ও মো. সুলেমান আহমদ (পাঞ্জাবি)।