রাস্তায় স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকায় স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্ত্রী হালিমা বেগম (৩০) ও স্বামী রায়হান হোসেনের (৩৮) বাড়ি দিনাজপুরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে হালিমাকে ছুরিকাঘাত করেন রায়হান। এর পর স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রায়হান।
জেলার সফিপুরে মাহমুদ ডেনিমস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক ছিলেন হালিমা। তাঁর বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে। রায়হানের বাড়ি একই জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চিলাপাড়া গ্রামে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, দুই মাস আগে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকার চুন্নু মিয়ার বাড়িতে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভাড়া উঠেছিলেন হালিমা। সেখান থেকে মাহমুদ ডেনিমস কারখানায় চাকরি করতেন। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হতো। ২০/২৫ দিন আগে রায়হান তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে রেখে দেশের বাড়িতে চলে যান। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসায় ফিরে এলে আবারো দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এরই জের ধরে হালিমা কারখানা থেকে ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে মালেক স্পিনিং মিলস রোডে রায়হান তাঁর গতিরোধ করেন। একপর্যায়ে হালিমার পেটে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন তিনি।
স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে রায়হান তাঁর নিজের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা এসে দুজনকেই উদ্ধার করে সফিপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোতালেব মিয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সফিপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মো. রিফায়েজ মাহমুদ জানান, রাত ১১টার দিকে দুজনকেই এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে এর আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।