মানিকগঞ্জে বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বৈধ চার মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্য থেকে নির্বাচনের বিকল্প প্রার্থী জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আজ সোমবার দুপুরে বিপুল নেতা-কর্মী ও সমর্থক সঙ্গে নিয়ে বাবুল সরকার রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবিরের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এখন মেয়র পদে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রইলেন বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের মনোনীত রমজান আলী, বিএনপি মনোনীত নাসির উদ্দিন আহমেদ যাদু ও স্বতন্ত্র জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল হুদা সেলিম।
গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন চার মেয়র পদপ্রার্থী। গাজী কামরুল হুদা সেলিম ও বাবুল সরকার আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তাঁরা পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রমজান আলীর বিকল্প প্রার্থী ছিলেন বাবুল সরকার।
বাবুল সরকার জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে রমজান আলীর প্রার্থিতা বাতিল হলে তিনিই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন। এখন যাচাই-বাছাইয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থী রমজান আলীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
অপরদিকে, গাজী কামরুল হুদা সেলিম দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন এমনটা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন চাননি। পৌর নাগরিক কল্যাণ সমিতির ব্যানারে দীর্ঘ দিন ধরে তিনি পৌরসভার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দেন। একটানা প্রায় ১২ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন গাজী কামরুল হুদা সেলিম। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়পত্রও বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রিটার্নিং কর্মকর্তা গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির জানান, তফসিল অনুযায়ী যাচাই বাছাইয়ের দুইদিনে চার মেয়র, ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ৭৩ জনের মধ্যে ৬৯ জন সাধারণ কাউন্সিলরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে মেয়র পদপ্রার্থী থেকে বাবুল সরকার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।