সিলেট এমসি কলেজ ব্যাচ-৯০-এর পুনর্মিলনী ৮ জানুয়ারি
দেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ সিলেট এমসি কলেজের এইচএসসি ৯০তম ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ধোপাদীঘির পাড়ে একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানানো হয়।
পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সদস্য ও জেলা বারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম এ তথ্য জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৮ জানুয়ারি কলেজ প্রাঙ্গণে ২৫টি মেহগনি চারা রোপণ ও বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হবে। এসব অনুষ্ঠানে ব্যাচের ৩২৭ জন পরিবার নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রাজ্ঞ বিদগ্ধ অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকরা। সন্ধ্যায় খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব ব্যবসায়ী আহমেদ জিল্লুল দারা, মুখপাত্র আমিরুল হোসেন খান, সিলেট কারাগারে জেলার মাসুদ পারভেজ মঈন, কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মো. আজাদ উদ্দিন, সিলেট টিচার্স ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ ড. দিদার চৌধুরী, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক জুবায়ের হোসেন সুফি, মদনমোহন কলেজের শিক্ষক উজ্জ্বল দাশ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজ থেকে স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, জাতীয় অধ্যাপক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম এ মালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী মোহাম্মদ আতাউল করিম, মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) আবু তাহের, বিখ্যাত ডন পত্রিকার সাংবাদিক মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন, বিখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক জিতেন্দ্র কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদ, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী, বিখ্যাত ইতিহাসবিদ নিহার রঞ্জন রায়, বুয়েটের প্রথম উপাচার্য এম এ রশিদ, ভুটানের রাষ্ট্রদূত যিষ্ণু রায় চৌধুরীসহ অসংখ্য প্রজ্ঞাদীপ্ত ব্যক্তিরা শিক্ষা নিয়ে বের হয়েছেন।
১২৩ বছর পেরিয়ে যাওয়া এমসি কলেজ ১৯৮২ সালে গিরীশ চন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ভারত বর্ষের শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।