সিলেটে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
বিচারকাজ শুরুর নয়দিনের মধ্যেই শেষ হলো শিশু আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় সর্বশেষ তিন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আগামী রোববার এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে।
গত ১৭ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। এরপর মাত্র পাঁচ কার্যদিবসে সম্পন্ন হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
আজ সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক মাসুদ, এসআই মোশারনফ হোসেন ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জনের মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মালেক জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের পর সাক্ষীদের জেরা শেষে বিচারক ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা করেছেন। এর আগে গতকাল বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনজন। গত মঙ্গলবার চারজন, গত সোমবার সাতজন, গত রোববার ছয়জন এবং গত ১৯ নভেম্বর পাঁচজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই চারজন হচ্ছেন সিলেট নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মুহিব হোসেন মাসুম। এঁরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
চলতি বছরের ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়ার বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।