ড্রেজিং মাস্টারকে মারধর করা ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবি
মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ চ্যানেলের খননকাজে নিয়োজিত ড্রেজার মাস্টারকে মারধর করার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলের মুক্তি দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। রফিকুল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রামপাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি করা হয়। রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদ লিখিত বক্তব্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতিপক্ষের ইন্ধনে তালকে তিল বানিয়ে রফিকুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ঘটনা ফলাও করে প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের দোষারোপ করেন তিনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান দাবি করেন, জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করায় এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাঈদ বলেন, ‘বাবুল চেয়ারম্যানের একটু মুখের (গালমন্দ) দোষ রয়েছে। আর এই দোষকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষ ফায়দা লুটছে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৭ নভেম্বর সকালে বাগেরহাটের রামপালের খেয়াঘাটসংলগ্ন মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল খননকাজে নিয়োজিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি ড্রেজারের মাস্টার মো. শাহজাহানকে মারধর ও গালমন্দ করেন ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল।
এ ঘটনায় ওই দিন ছয় ঘণ্টা ড্রেজিং কাজও বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিএ।