বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে কাল মঙ্গলবার রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণশোক সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এজন্য সমাবেশ স্থগিত করে সরকারের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জোটের নেতারা।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর বেইলি রোডের বাসভবনে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সমাবেশ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণশোক সমাবেশের সরকার কর্তৃক অনুমতি না দেওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মনে করেন, ভোট ডাকাত গণবিচ্ছিন্ন সরকার খুবই লজ্জাজনক কাজ করেছেন। সরকার মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করেছে। সরকার অনুমতি না দেওয়ার কারণে আগামীকাল ২২ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণশোক সমাবেশ স্থগিত। আগামীতে আমাদের আন্দোলন প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। সব স্বৈরশাসকই এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ করে গণরোষানলে বিতাড়িত হয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা দ্রুত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেএসডির সভাপতি আ. স. ম. আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।