সম্রাট আবার র্যাবের হাতে
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-১ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে সম্রাটকে কার্যালয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্রাটকে আজ বিকেল ৪টার দিকে র্যাব ১-এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্রাটের সঙ্গে তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও র্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলার তদন্ত করবে র্যাব।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে সম্রাট নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এখন সম্রাট র্যাবের কাছে রয়েছে। তাঁর কাছ থেকে আরো নানান ধরনের তথ্য বের করে এবং আগের তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমরা নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করব।’
এর আগে ১৫ অক্টোবর ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। একই সঙ্গে তাঁর সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। দুপুরে সিএমএম আদালতের বিচারক তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব। রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখানে অবৈধ পিস্তল, গুলি, ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, নির্যাতন করার জন্য বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। একই সময় সম্রাটের মহাখালী ও শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
পরে কাকরাইলের নিজ কার্যালয়ে ক্যাঙারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।