এক মামলায় রিমান্ড শেষে আদালতে খালেদ
গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কৃত খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সিএমএম আদালতে হাজির করেছে গুলশান থানা পুলিশ। ওই এ মামলায় চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন খালেদ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদকে হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানার মাদকের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে যায় পুলিশ।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা( জিআরও) এস আই রাকিবুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যুবলীগ নেতা খালেদকে অস্ত্র মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁকে মাদক মামলায় রিমান্ডে নিয়ে যেতে চাইলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রিমান্ডে নিয়ে যেতে অনুমতি দেন।’
রাকিবুল আরো জানান, এর আগে গত শনিবার খালেদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মাদকের আরেক মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ওই দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর খালেদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। তিনি বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় যুবলীগ নেতা খালেদ হোসেন ভূঁইয়াকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায়। তার মধ্যে অস্ত্র মামলায় চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। সময় ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব- ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। আজ দুপুর আড়াইটায় খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব। ওই দিনই সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। ওই ক্যাসিনোর মালিক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।