অস্ত্র রেখে যুবদল নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাবলুর দোকানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অস্ত্রের সরঞ্জাম রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন যুবদল নেতা বাবলুর স্ত্রী ও মেয়ে।
পূর্বশক্রতার জের ধরে একই ইউনিয়নের লক্ষ্মণকাঠি গ্রামের ইব্রাহীম মানিক ওঝা নামে এক ব্যক্তি বাবলুর দোকানে অস্ত্র রেখে পুলিশ ডেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাবুলর স্বজনরা। ইব্রাহীম মানিক ওঝাকে স্থানীয় বাসিন্দারা জিনের বাদশা নামে চেনেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই সাজানো নাটক সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আটকের দাবি করেন যুবদল নেতা বাবলুর স্ত্রী রুপালী বেগম ও তাঁর মেয়ে পিংকি আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পিংকি আক্তার বলেন, ‘গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার এম এম মাহামুদ হাসানের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল নলছিটির প্রতাপ এলাকায় যুবদল নেতা শফিকুর রহমান বাবলুর ইলেকট্রিকের দোকানে আকস্মিক অভিযান চালায়। এ সময় শফিকুর রহমান বাবলু তাঁর দোকানে ফটোকপির কাজ করছিলেন। হঠাৎ ডিবি পুলিশ তার দোকান থেকে বাজারের ব্যাগভর্তি একটি পাইপগান, থ্রিনটথ্রি রাইফেলের ভোল্ট ও ম্যাগাজিন এবং কার্তুজ উদ্ধার করে। এসময় শফিকুর রহমান বাবলুকে আটক করে ডিবি পুলিশ।’
রুপালী বেগম জানান, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য পূর্বশত্রুতার জের ধরে পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মণকাঠি গ্রামের জিনের বাদশা নামে পরিচিত ইব্রাহীম মানিক ওঝা পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রের সরঞ্জামাদিসহ ব্যাগ রেখে পুলিশকে খবর দিয়ে শফিকুর রহমান বাবলুকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আরো একবার শফিকুর রহমানের ঢাপর সমবায় সমিতির ঘরে অস্ত্র রেখে র্যাবকে খবর দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল ইব্রাহীম মানিক ওঝা। তখন পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণ পায়। এবার তারা শফিকুর রহমান বাবলুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের সরঞ্জামাদি দিয়ে ফাঁসিয়েছে।
কথিত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলাটিও প্রত্যাহারের দাবি করে আটক বাবলুর মেয়ে পিংকি আক্তার। একই সঙ্গে ইব্রাহীম মানিকের বিচারও দাবি করে সে। এ সময়ে যুবদল নেতা বাবলুর বাবা আব্দুল ওহাব মাস্টার, মা লুৎফর নেছা উপস্থিত ছিলেন।