ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বীথি এ আদেশ দেন।
ঢাকার জেলা জজ আদালতের নাজির তরিকুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে আমান উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ছাত্রদলের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ১০ নেতাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন।
তরিকুল বলেন, সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে আদালতের নোটিশ আমাদের নেজারত শাখায় দেওয়া হয়েছে। নোটিশটি নিয়ে জারিকারক মোহাম্মদ মামুন নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের দিকে রওনা দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
মামলার বাদী আমান উল্লাহ সদ্য বিদায়ী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে কাউন্সিলের সব কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেল।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের ‘বয়স্ক’ নেতাদের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করে। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টানা বিক্ষোভ করে। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্ব পাওয়া নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।
যদিও ক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাদের ক্ষোভ কমাতে বিশেষভাবে কাজ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।