যশোরে আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে
যশোরের শার্শায় মাদক মামলার আসামির স্ত্রীর করা মামলায় তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার আবেদন করলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, মেডিকেল পরীক্ষায় ওই নারীর বিশেষ অঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের আলামত হিসেবে সিমেন পাওয়া গেছে। এখন অভিযুক্ত ব্যক্তিরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ হতে পারে।
যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেছেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের আলামত ঢাকায় সিআইডির ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এ আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন।’
শার্শা উপজেলার বাসিন্দা এই নারী অভিযোগ করেন, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে স্থানীয় গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলম ও তাঁর সোর্স কামরুল তাঁকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করেন। এ সময় লতিফ ও কাদের নামে দুইজন ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরের দিন মঙ্গলবার রাতেই এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আসামি করে মামলা করেন ওই নারী। তবে আসামিদের মধ্যে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হলেও একজনকে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে আসামিদের তালিকায় এসআই খাইরুল আলমের নাম নেই। প্রথমে ওই নারী এ ঘটনায় এসআই খায়রুল আলম জড়িত বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরে এসআই খায়রুল আলম ঘটনার সময় ছিলেন না বলে জানান।
পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ও এসআই খাইরুলকে যশোর পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে।
ধর্ষণের এ ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে পিবিআই।