অভিজিৎ হত্যার বিচার দাবি বিএনপির
বাংলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মতো এলাকায় ‘নিশ্ছিদ্র পুলিশ বেষ্টনী’র মধ্যে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। ঘটনার ‘সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি’ করে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এটা প্রমাণ করে এ দেশের কোনো নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ।’
আজ শনিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। এতে তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড হিসেবে সরকারের উপস্থাপনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের নিভৃত পল্লীতে গতকাল মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকে ধরতে গিয়ে তাঁর ছেলে রেজওয়ানুলকে হত্যা করে স্ত্রী-মেয়েকে গুলিবিদ্ধ করে পুলিশ গ্রামবাসীর প্রতিরোধে পলায়ন করতে বাধ্য হয়।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পুনরায় পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ রিজভীকে হত্যার উদ্দেশ্যেই সরকার গ্রেপ্তারের পর থেকে আজ পর্যন্ত কারাগারে না নিয়ে ২৯ দিন লাগাতার পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার নজিরবিহীন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। রিজভী আহমেদের যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’
বিবৃতিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রদল, যুবদলসহ যে সকল নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার করছে, তাদের সকলের তালিকা আমরা সংরক্ষণ করছি। পুলিশ-র্যাবের কতিপয় দলকানা সদস্যদের উদ্দেশে বলতে চাই-এই সরকারই শেষ সরকার নয়; অতএব অবৈধ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা করে আইনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন না।’ তিনি আরো বলেন, সরকারের হুকুমে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির কিছু দলবাজ কর্তাব্যক্তি ক্রসফায়ারের মাধ্যমে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করলেও অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতে পারবেন না।