‘খুব বড় রকমের ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা গেছে’
সাংবাদিক ও কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন। ডেঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল পরিদর্শন করে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘এই বার যে ডেঙ্গু দেখা দিবে ফেব্রুয়ারি মাসেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সেটা জানিয়েছে। তারপর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু প্রতিরোধে, এডিস মশা নিধনে বিশেষজ্ঞদের সাথে সভা করছে। আমিও সেই কমিটির মধ্যে আছি। আমি আছি নাগরিক সমাজের প্রতিনিধির একজন। এগুলোর মূল কাজ হলো সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেখান থেকে তারা কাজ করছিলেন। ডেঙ্গুকে মহামারি না বললেও, খুব বড় রকমের প্রকোপ দেখা গেছে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। সিটি করপোরেশনগুলো বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন যদি অনেক আগে থেকেই মশা নিধনে কাজ করত তাহলে পরিস্থিতি এ আকার ধারণ করত না। মানুষদের মধ্যে আমরা এখন সচেতনতা সৃষ্টি করছি। লিফলেট তৈরি করেছি। ঢাকার বাইরে ব্যাপারগুলো স্পষ্ট না। তাই নারায়ণগঞ্জে আমি এসেছি। এই উন্নয়নশীল দেশে সরকার সব কাজ একা করতে পারে না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এখন যারা সুস্থ আছেন তাদের নিরাপদে থাকতে হবে।’
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী দেখতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। ছবি : এনটিভি
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ জাহেদ জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। এর আগে ৯০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা ভালো হয়ে চলে গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে, একটি এডিস মশা একজন বা একাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই মানুষকে নিজ নিজ বাসস্থান ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়ে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আবুল মকসুদ। নাগরিক প্রতিনিধি হিসেবে এর আগে তিনি গাজীপুরের হাসপাতালে গিয়েছেন বলেও জানান।