‘রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র মানুষের ক্ষতির কারণ হবে না’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনোভাবেই মানুষের জন্য ক্ষতির কোনো কারণ হবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি, ইউরেনিয়াম আজীবন সরবরাহের জন্য রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান টিভিইএলের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এগিয়ে চলছে টাকার অঙ্কে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি, ইউরেনিয়াম সরবরাহের জন্য। চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান টিভিইএল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি আজীবন এই কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করবে। ১০ বছর পরপর জ্বালানির দাম পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, ‘যারা নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহ করে, তাদেরও একটা গ্লোবাল কমিউনিটি আছে তাদেরও একটা স্ট্যান্ডার্ড মেথড আছে। সেই ফরমালগুলো আমলা সেরে নিয়েছি। আমরা যাতে সঠিক দামে ফ্রেশ ফুয়েল একটা ন্যায্য দামে কিনতে পারি।’
আর এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে এখনো অনেকের মনে ভুল ধারণা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী। যা কোনোভাবেই ঠিক নয় বলেও মনে করেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘সারা পৃথিবী যেভাবে এটার ব্যবস্থাপনা করে আমরাও ঠিক সেভাবেই এগোচ্ছি। সুতরাং আমি বলব, আমাদের ক্ষতি হওয়ার কোনো স্কোপ নেই। কোর ক্যাচার বলে নতুন কিছু প্রযুক্তি এই প্রকল্পগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সেই কোর ক্যাচারও আমরা বসিয়েছি। খোদা নাখাস্তা যদি ফুকুশিমার মতো ঘটনা ঘটে, তাহলেও আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু কারণ নেই। কারণ, ফুকুশিমায় গ্যাস ফেটে বেরিয়ে গিয়েছিল, এখানে গ্যাস বের হওয়ার কোনো স্কোপ নাই।’
২০২২ সালে এখানকার প্রথম ইউনিট থেকে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা। পরের বছর আরো এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ মিলবে আরেকটি ইউনিট থেকে।