জয়পুরহাটে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে : প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ কয়লাখনিতে যে মিথেন গ্যাস পাওয়া গেছে, তা উত্তোলন করে সেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।’
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জের রুকিন্দিপুর গ্রামে খনি এলাকায় আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানকার কয়লা সরাসরি উত্তোলন না করে তা গ্যাস আকারে উত্তোলন করলেই বেশি লাভবান হওয়া যাবে। এর ফিজিবিলিটি (সম্ভাব্যতা) পরীক্ষার মাধ্যমে এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিনের মধ্যেই এর প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এরপর এখানকার কয়লা ও গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ আরো অন্যান্য কাজ করা যাবে।’
সমাবেশে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলায় তিন বর্গকিলোমিটার বিদ্যুৎলাইন সম্প্রসারণ করে আরো নতুন ১০ হাজার সংযোগ প্রদান করার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে সারা বাংলাদেশকে বিদ্যুতের সুবিধার আওতায় আনা হবে।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘জামালগঞ্জ কয়লাখনির ভেতরে ৭০০ মিটার থেকে ১৮০০ মিটার গভীর পর্যন্ত প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এক দশমিক ৮ বিলিয়ন টন কয়লা মজুদ রয়েছে, যা থেকে পর্যাপ্ত মিথেন গ্যাস পাওয়া যাবে এবং এই গ্যাসের জ্বালানিশক্তি অন্যান্য গ্যাসের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। বাংলাদেশের পেট্রোবাংলা এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি বেসরকারি কোম্পানি এর সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।’
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম, জেলা পুলিশ সুপার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী, রুকিন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাহফুজ চৌধুরী প্রমুখ।