এরশাদকে রক্ত দিলেন চিত্রনায়ক সাইফ খান
সাবেক সেনা প্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হোসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকা কেন্টনমেন্টের সিএমএইচ হাসপাতালে রক্ত দিলেন চিত্রনায়ক সাইফ খান।
হোসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর জরুরি রক্তের প্রয়োজনের সংবাদটি ফেসবুকের মাধ্যমে প্রথম জানতে পান সাইফ। রক্তের গ্রুপ মিলে যাওয়াতে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। সাইফ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর।
প্রথমে রক্তের ক্রসম্যাচিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় প্লাটিলেট সংখ্যা । পরে গতকাল বিকেলে জরুরি ভিত্তিতে সাইফ এর কাছ থেকে রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহ করেন সি এম এইচ কর্তৃপক্ষ। সাইফ খান নিয়মিত রক্ত দান করে আসছেন অনেক বছর ধরে। তবে এই প্রথম এত হাই-প্রোফাইল কাউকে রক্তদিলেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সাইফ বললেন, ‘আমি একজন রোগীর জীবন বাঁচাতে রক্ত দিয়েছি। কাউকে রক্ত দিতে পারলে এমনিতেই ভালো লাগে। তবে উনি যখন এত বড় একজন মানুষ তাই অনুভূতির মাত্রটাও একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
দেশবাসীর কাছে সাইফ খান সাবেক সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান হোসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
২০০৯ সালে আবু সুফিয়ানের ‘বন্ধু মায়া লাগাইছে’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন সিলেটের ছেলে সাইফ খানের। প্রথম ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন নিপুণ। এরপর তাঁর অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে ‘এক জনমের কষ্টের প্রেম’ ও ‘পালাবার পথ নেই’। এ ছাড়া কলকাতার চলচ্চিত্র ‘আমিই টোটো’তে অভিনয় করেছেন তিনি।
ক্রিকেটার হওয়ার শখ ছিল সাইফের, কিন্তু মা-বাবার কথায় সে ইচ্ছে ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু অভিনয়ের আগ্রহে যুক্ত হন নাটকের দল নাট্যজনে। শহীদুজ্জামান সেলিম পরিচালিত ‘এই সব অন্ধকার’ শিরোনামের নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ছোট পর্দায় যুক্ত হন। পরে সিনেমার সহকারী পরিচালক মিজানের হাত ধরে পরিচালক আবু সুফিয়ানের সঙ্গে পরিচয় এবং তাঁর পরিচালিত ছবি ‘বন্ধু মায়া লাগাইছে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং করেন সাইফ। ক্যারিয়ারের শুরুতে ফ্যাশন হাউজ রঙের মডেল হয়েছিলেন। পরে তিনি আরএফএল ওয়ারড্রোব, রবি প্রভৃতি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন।
বর্তমানে মোহাম্মদ আসলাম পরিচালিত ‘সমাধান’ চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। এ ছাড়া ‘বাঘিণী কন্যা’ চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাইফ খান।