বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক সংকট অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় ওয়াশিংটনে ফরেন প্রেস সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা প্রসঙ্গে নিশা বলেন, ‘আমরা আশা করি এবং চাই, কোনো অভিযোগ বিচার করার ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।’

‘একই সঙ্গে এটাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের অস্তিত্বশীল থাকার জন্য এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া তৈরির জন্য শান্তিপূর্ণ ক্ষেত্র তৈরি করবে’— বলেন নিশা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গত বুধবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ জজ আদালত।

এ দুই মামলায় সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ পর্যন্ত ৫৫ কার্যদিবসে সাতবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দেন তিনবার। গত বছরের ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।

২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ও ২০১১ সালে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ মোট আসামি নয়জন।