পুলিশ কনস্টেবলের যৌন নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর পাশে বিএনপি
মাদারীপুর পৌর শহরে পুলিশ কনস্টেবলের যৌন নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে এসে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ওই স্কুলছাত্রীকে দেখতে মাদারীপুর আসেন। এ সময় সেলিমা রহমানের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহসভাপতি জেবা খান, ঢাকা জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, ঢাকা বিভাগ মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তারসহ অন্যান্যরা।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তার বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ সময় ভুক্তভোগীর পরিবারকে সবরকম আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা। পরে স্কুলছাত্রীকে দেখতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে যান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুর হোসেন মিঠু, নাদিরা মিঠু চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক বেপারী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, ছাত্রদলের সভাপতি শাহিন মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক নুরে-মোস্তফা প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন নেই। তাই দেশের এই দুরাবস্থা। আমরা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে অসহায় এ নির্যাতিত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি এবং দলের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
মাদারীপুর পুলিশ লাইনে নিযুক্ত কনস্টেবল মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে ভাড়া থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের গর্ভবতী স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে যায়। এই সুযোগ গত রোববার রাতে শহরের সৈদারবালী সড়কের প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন।
স্থানীয় লোকজন ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাদারীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কয়েক দিন আগে মোক্তারের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগ গত রোববার রাতে প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন মোক্তার হোসেন। এ সময় দরজা বন্ধ করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে মোক্তার হোসেন ওই স্কুলছাত্রীকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেন। এতে ওই মেয়েটি গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ মোক্তার হোসেনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।