নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পানি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় শেষ রক্ষা হলো না ফসল রক্ষা বাঁধের। সোমবার ভোর হতে না হতেই উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের পুটকিয়া নামক স্থানে সিঙ্গার বিল সাবমার্জেবল প্রজেক্টের প্রায় ৬০ ফুট বাঁধ ভেঙে গেছে। তিনটি হাওরে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বোরো ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টার চিরাম ও আসমা ইউনিয়নে প্রায় ২০ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ওই বাঁধের প্রায় ৭ কিলোমিটার সাবমার্জেবল, যা বর্ষায় পানিতে ডুবে যায়। এবার ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও একদিনের বৃষ্টিতে কংশ নদীর শাখা গুমাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়, যা বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই বাঁধের পুটকিয়া নামক স্থানের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দেয়। এলাকাবাসী বাঁধটি নিয়ে আতঙ্কিত ছিল। শেষ রক্ষা হলো না। সোমবার ভোরে বাঁধের পুটকিয়া নামক স্থানে প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভেঙে যায়।
এতে উপজেলার ওই দুইটি ইউনিয়নের রামারবাড়ি, পুটকিয়া, হরিরামপুর, নয়হাটী, বাহিরকান্দা, গাবরকান্দা, উজানগাঁও, চিরামসহ প্রায় ২০টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার হেক্টর উঠতি বোরো ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাসেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফরিদা ইয়াসমিন, নেত্রকোনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বাঁধ এলাকায় ছুটে যান। বাঁধ রক্ষার জন্য পাউবো উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, সেচ মৌসুমে পানিতে সেচ দেওয়ার জন্য ওই স্থানে বিএডিসি সেচ পাইপ বসিয়েছিল। ঠিকমতো কাজ না করায় বাঁধের নিচ দিয়ে পানি প্রবেশ করে কিছুটা অংশ ভেঙে গেছে। এতে প্রায় তিন হাজার হেক্টর বোরো ফসলের জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। বাঁধটি মেরামতের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে।