ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের নতুন অর্জন
‘গ্লোবাল প্রোগাম ফর উইমেনস লিডারশিপে’র ফেলো মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা, আইন পেশায় দক্ষতা ও জনস্বার্থে দায়ের করা মামলার সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ সম্মান জানানো হয়।
আজ রোববার ব্যারিস্টার আখতার ইমাম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সরকার, ব্যবসায়, শিল্প, গণমাধ্যম ও অলাভজনক ক্ষেত্রগুলোতে তরুণ নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে এশিয়া সোসাইটি কর্তৃক নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘এশিয়া ইয়ং লিডার-২০১৮’ এর তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় এশিয়ার ৩১ জন তরুণ নেতৃত্বের নাম উঠে আসে। যারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। বাংলাদেশ থেকে ২০১৮ সালে একমাত্র তিনিই এ গৌরব অর্জন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ধরনের প্রাপ্তিতে কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। এ সন্মাননা দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে আমি মনে করি। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩১ জন নারী তাদের নিজ দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন। এসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমার দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এপ্রিল মাসে ভারতের নয়া দিল্লিতে সাত দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল প্রোগ্রাম অব উইমেন লিডারশিপ’ সম্মেলনের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) এবং ইংল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) আমন্ত্রণে ওই সম্মেলনে আফ্রিকা, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিরা যোগ দেন। এরমধ্যে ছিলেন ২০১৮ সালের এশিয়ার ইয়ং লিডার মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
ওই সম্মেলনে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পেশার খাতগুলোতে চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলার উপায়, টেকসই উন্নয়ন ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ থেকে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও অন্যান্য দেশ থেকে আগত ৩১ জনকে গ্লোবাল প্রোগাম ফর উইমেনস লিডারশিপের ফেলো মনোনীত করা হয়।
বর্তমানে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে আইনি পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। তামাদি হয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন বৈষম্যমূলক আইনের বৈধতা প্রশ্নে দেশের উচ্চ আদালতে তার বেশ কিছু রিট শুনানিরত রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা, মৃত্যু পরবর্তী অঙ্গদানসহ বিভিন্ন মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব মামলা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা প্রাপ্ত ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় ল’ ফার্ম বেকার অ্যান্ড মেকাঞ্জির লন্ডন অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় কোম্পানি এবং বাণিজ্যিক আইন বিষয়ে প্রভূত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বিশ্বখ্যাত মিত্তাল এবং শিন্ডার ইলেক্ট্রিক কোম্পানিকে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব রয়েছে তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে।
দেশের বিভিন্ন স্থানীয় বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী এবং বহুজাতিক কোম্পানিকে আইনি পরামর্শ এবং সেবা প্রদান করে আসছেন ব্যারিস্টার রাশনা। চেম্বারস অ্যান্ড পার্টনারস, এশিয়া প্যাসিফিক ২০১৮-এর একজন শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী তিনি। ব্যারিস্টার রাশনা ইমামের বাবা ব্যারিস্টার আখতার ইমাম সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী এবং স্বামী ববি হাজ্জাজ রাজনীতিবিদ।