‘ফণী’র ক্ষতি নিরূপণে ২৪ ঘণ্টা লাগবে : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র বিপদ কেটে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সারা দেশে চারজন নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে টিনের ঘরবাড়িসহ ফসলের কিছু জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণে আমাদের কমপক্ষে আরো ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আমরা সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এ নিয়ে কাজ করতে বলেছি। তাদের সবার প্রতিবেদন এলেই আমরা প্রকৃত তথ্য জানাতে পারব।
আজ শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। ফণীর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, তথ্য সচিব মো. আব্দুল মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে আমাদের যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে। কারো কাছে হাত পাততে হবে না। আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। তা দিয়েই আমরা সবাইকে পুনর্বাসন করতে সক্ষম হব।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, ফণীর বিপদ কেটে গিয়ে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফণীর প্রভাবে এখন পর্যন্ত সারা দেশে চারজন মারা গেছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে তাদের পরিবারকে ঘরবাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের ওডিশা রাজ্যে ফণীর তাণ্ডব শুরু হয়। সেখানকার পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। সেখানে আটজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনে। মধ্যরাতের পর ভারতের এই রাজ্যে প্রবেশ করে ফণী। ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে এটি আঘাত হানে। পরে আরামবাগ, কাটোয়া, নদীয়া হয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটি এরই মধ্যে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছি। তার পরিবর্তে সব বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’