সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত
‘সুবীর দাদা এখনো লাইফ সাপোর্টে আছেন। গতকাল সোমবার সকালে তাঁর কিডনির ডায়ালাইসিস হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরাও কিছু বলতে চাইছেন না।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। গত রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পরই তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। এখনো তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘আমি গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম। সুবীর দাদার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। সবাই দোয়া করবেন।’
গত শুক্রবার শ্রীমঙ্গলে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সুবীর নন্দী ও তাঁর পরিবার। রোববার পয়লা বৈশাখে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা ফেরার পথে উত্তরায় কাছাকাছি আসতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে সুবীর নন্দীর। এরপরই তাঁকে সেখান থেকে সরাসরি সিএমএইচে নেওয়া হয়।
দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশ হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।
সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো—‘ও আমার উড়াল পঙ্খী রে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন’, ‘বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি’, ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আশা ছিল মনে মনে’ ইত্যাদি।