নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ২০-দলীয় জোট ও তাদের দোসররা দেশ অস্থিতিশীল করতে কী ধরনের ষড়যন্ত্র করছে, তা মান্নার কথায় প্রকাশ পেয়েছে। তাই ষড়যন্ত্রকারী যেই হোক না কেন তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

আজ বুধবার বিকেলে নগরীর শিরোইলে বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তায় রাজশাহী বিভাগীয় বাস-ট্রাক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে পরিবহনে জ্বালাও-পোড়াও বন্ধের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শাজাহান খান বলেন, ‘এইবার মান্না এবং খালেদা জিয়া দুজনেই ধরা পড়ে গেছেন রঙিলা জালে। আপনাদের আর রক্ষা নাই। খালেদা জিয়া ঘুঘু দেখেছেন, ফাঁদ দেখেননি। এবারে ফাঁদে পড়বেন। আমরা দাবি জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যে দানব মানুষ হত্যা করে, যে দানব মানুষের রক্ত চুষে খায়, ওনার বাইরে থাকার কোনো সুযোগ নেই। তাঁকে অবিলম্বে খাঁচায় বন্দি করুন, তাঁকে গ্রেপ্তার করুন এবং এই বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করুন।’

নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পেট্রলবোমা মারছে, তাদের ধরিয়ে দিন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। যাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রলবোমার রাজনীতি চিরতরে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমরা বাংলার মাটিতে জামায়াত-শিবিরের কবর রচনা করতে চাই।’

শাজাহান খান বলেন, ’৭১ সালের স্বাধীনতারযুদ্ধে পাক-হানাদাররা বাঙালিকে গুলি করে মারত। আর এখন তাদের দোসররা পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে।’

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘নবম ও দশম সংসদের যা অর্জন, তা জামায়াত-শিবির জোট নষ্ট করতে চায়। কিন্তু তা সম্ভব হবে না। এ দেশের মানুষ তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরেছে।’

রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সভাপতি এনামুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ। রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন রবি সভাটি পরিচালনা করেন।