কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি নাইটিংগেল-স্কাউট মার্কেট ঘুরে ফকিরাপুল অভিমুখে কিছুদূর গিয়ে নয়াপল্টন মসজিদ ঘুরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি আর চলতে দেওয়া যায় না। স্বৈরশাসনের কশাঘাতে জনগণের মনে বিষাদঘন অবস্থা বিরাজমান।’

খালেদা জিয়াকে দস্যুবৃত্তির পন্থায় আটকে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে তাঁর অসুস্থতাকে গুরুতর করার যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে সরকার। খালেদা জিয়া যাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, সেই প্রহর গুনছেন প্রধানমন্ত্রী।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের হুবহু বাকশাল পুনরায় প্রবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য এক ভয়াবহ অশনিসংকেত। দেশে আরো বিপজ্জনক দুঃসময়ের অশুভ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র হত্যাই আওয়ামী লীগের আদর্শ। ক্ষমতায় এসে এরা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন চালিয়ে জনগণকে বারবার ক্রীতদাস বানিয়েছে। বাকশাল সেই ক্রীতদাস বানানোরই ব্যবস্থা। গণতন্ত্র যাতে পুনরুজ্জীবিত হতে না পারে, সে জন্য এ দেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরালে রাখা হয়েছে।’

এ সময় সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার আহ্বান জানান রিজভী।

বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর সরকার, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।