আকস্মিক বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে মানিকগঞ্জের ইটভাটা
গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের ইটভাটা মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বৃষ্টির ফোঁটায় প্রস্তত রাখা কাঁচা ইট সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণ স্থগিত রাখার উদ্যোগ না নিলে আগামী বছর ইটের দাম বাড়িয়ে লোকশান পুষিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ইটভাটার মালিকরা।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মিতরা এলাকার ইটভাটার মালিক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আগামী বছর বিক্রির জন্য তাঁর চারটি ভাটায় প্রায় ২০ লাখ কাঁচা ইট পুড়ানোর জন্য কাঁচা ইট প্রস্তত করে রেখেছিলেন। কিন্তু গত দুদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে তাঁর ভাটার বেশির ভাগ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তাঁর প্রায় ৮০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
শুধু আব্দুর রাজ্জাক নন একই এলাকার ভাটার মালিক শফিকুল ইসলাম,গোলড়া এলাকার রুমু খানসহ জেলার সব ইটভাটার মালিকের একই অবস্থা। আগামী বছর বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা ৬০ ভাগ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা।
আকস্মিক এমন বৃষ্টিতে জেলার ১২০টি ভাটার প্রায় তিন কোটির বেশি কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁদের হিসাবে এই ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার উপরে। ভাটা মালিকদের এমন ক্ষতিতে আর্থিক সহায়তায় দাবি করে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জেলার ইটভাটা মালিক সমিতি।
মানিকগঞ্জ জেলায় ইটভাটার সংখ্যা রয়েছে ১৪০টি। এরমধ্যে ১২০টি ভাটা ইট প্রস্তুত করছে। বাকিগুলো বন্ধ রয়েছে। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর ও সিংগাইর উপজেলায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা।