কুষ্টিয়ায় কিশোর বাবুল হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় কিশোর বাবুল হোসেন (১৪) হত্যা মামলায় আসামি খাইরুল ইসলামকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ মামলার অন্য আসামি মো. জিকুকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও বাকি আটজন আসামির প্রত্যেককে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কুষ্টিয়ায় কিশোর বাবুল হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি খাইরুল ইসলামসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া আসামিরা। ছবি : এনটিভি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমারখালীর কোমরকান্দি গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে বাদী পলাশ উদ্দিনের বাড়িতে আসামিরা তাঁর ১৪ বছর বয়সী ছেলে বাবুল হোসেনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা বাবুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ অক্টোবর বাবুল হোসেনের বাবা মো. পলাশ উদ্দিন কুমারখালী থানায় ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দ্বী জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ৩০২ ধারায় আসামি খায়রুলকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন।
আসামি খাইরুল ইসলাম কুমারখালী উপজেলার কোমরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।