গ্রামপুলিশের বাড়িতে ঢোকায় হাত ভেঙে শিশুকে আছাড়

ঝালকাঠিতে গ্রামপুলিশের এক সদস্যের (চৌকিদার) বিরুদ্ধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এক শিশুর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলোপাতাড়ি পিটুনি ও কিল-ঘুষিতে শিশুটি মাথা, বুক ও পিঠেও আঘাত পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌরসভার কলাবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির নাম মো. সাইদ ভূঁইয়া (৮)। সে শহরের স্টেশন রোডের চা বিক্রেতা আবুল ভূঁইয়ার ছেলে ও পথকলি শিশু বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
অভিযোগ ওঠা গ্রামপুলিশের নাম আলী হোসেন। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামে। তিনি ঝালকাঠি পৌরসভার কলাবাগান এলাকায় থাকেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বাঁ হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে শিশু সাইদ। পাশে তার স্বজনরা। সাইদের মাথা, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
সাইদ ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সে পাশের কলাবাগান এলাকার শিশুদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। একপর্যায়ে সে সেখানকার বাসিন্দা গ্রামপুলিশ আলী হোসেনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এই অপরাধে আলী হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। একপর্যায়ে তাকে উঁচু করে মাটিতে আছাড় মারে। তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে এবং পাশের মহল্লায় তার বাবা-মাকে খবর দেয়।
সাইদের স্বজনরা জানান, রাতেই তাঁরা সাইদকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আবুল ভূঁইয়া রাতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সহকারী মনীন্দ্রনাথ জানান, সাইদের বাঁ হাত ভেঙে গেছে। এ ছাড়া তার মাথা, বুক ও পিঠে ফোলা জখম রয়েছে।
এদিকে কলাবাগান এলাকায় গ্রামপুলিশ আলী হোসেনের প্রতিবেশী মিলন তালুকদার জানান, ‘আলী হোসেনের স্বভাব-চরিত্র ভালো নয়। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি বলে জানতে পেরেছি।’
তবে আলী হোসেন কোন হত্যা মামলার আসামি তা মিলন তালুকদার বলতে পারেননি।
যোগাযোগ করা হলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম তালুকদার জানান, শিশু সাইদের বাবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলী হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকা প্রসঙ্গে এসআই হালিম বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।