অতি শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন হবে, খন্দকার মাহবুবের আশা
এই সরকার বেশি দিন টিকবে না। অতি শিগগিরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা থেকে বঞ্চিত করে কোনো সরকার কোনো দল ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকেও সরে যেতে হবে।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম ওই সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আজকের সরকার প্রতারণা করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এবং প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু বাকশাল করেছিলেন, আইন করে একদল করেছিলেন। এবার শেখ হাসিনা প্রহসনের ভোটে দ্বারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এ সরকার বেশি দিন টিকবে না, শিগগিরই নির্বাচন দিতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে একমাত্র উপায়, রাজপথ উত্তপ্ত করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত রাজপথ উত্তপ্ত না হবে, ততদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় জেল থেকে বের করা যাবে না। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার কোনো রাজনৈতিক মামলায় না। তাঁর গ্রেপ্তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা করা হয়েছে। তাই আইনের প্রক্রিয়া যতই আমরা বলি না কেন, সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া তাঁকে মুক্ত করা যাবে না।’
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা না করে আমরা নির্বাচনে গেছি গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর ভরসা করে। এটা কতটা সঠিক ছিল, সেটা হয়তো ইতিহাস একদিন বিচার করবে।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আপনারা একটি মাত্র ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করুন, সেটা হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি। গণতন্ত্র ও প্রহসনের নির্বাচন সবকিছুই বলা হবে। কিন্তু সবার আগে থাকবে খালেদা জিয়াকে মুক্তির আন্দোলন। তাঁর মুক্তির বিনিময়ে যা কিছু দরকার, রাজপথ উত্তপ্ত করে, আন্দোলন করে, সবকিছু করে তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।’
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আইনের সাধারণ প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। কারণ বর্তমান সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আইনের শাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় বের করতে পারব বলে আমি আগেও বিশ্বাস করতাম না, এখনো বিশ্বাস করছি না।’
নাগরিক আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম. জাহাঙ্গীর আলম সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে বিজয়ী বিএনপির প্রার্থী আলহাজ মো. মোশারফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা শাজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।