স্কুলছাত্রকে হত্যার পর মাটিচাপা দিল আরেক কিশোর!
ফেনীতে আরাফাত হোসেন (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে আরেক কিশোরের (১৫) বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত কিশোর পলাতক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।
ওসি জানান, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার জিবি টাওয়ারের পাশে পরিত্যক্ত খালি জায়গা থেকে আরাফাত হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আরাফাত ফেনী পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। সে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ছেলে। শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করে আসছে তার পরিবার।
নিহত আরাফাত হোসেনের মামা এরশাদ হোসেন দাবি করেন, পাড়ার বখাটে সাব্বিরের সঙ্গে তার ভাগনে আরাফাত হোসেনের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে বখাটে সাব্বির রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরাফাতকে জেবি টাওয়ারের পাশের পরিত্যক্ত নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাব্বির ওই স্থান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এলাকাবাসী আরাফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সাব্বির দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
ফেনী শহরের পাঠানবাড়ি এলাকায় স্কুলছাত্র আরাফাত হোসেনের লাশ উদ্ধারের পর স্বজনের আহাজারি। ছবি : এনটিভি
এরপর থেকেই আরাফাত নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে স্বজনরা ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করে।
সোমবার সকালে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই পরিত্যক্ত জায়গাটির এক কোণে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি পা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে আরাফাতের স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করে।
নিহত আরাফাতের মামা দাবি করেন, বখাটে সাব্বির আরাফাতকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, আমরা যার সম্পর্কে জেনেছি বখাটে একটা ছেলে। খেলতে যাওয়া-আসা নিয়ে, চলাফেরা করতে গিয়ে কোনো বিরোধ থাকতে পারে। একেবারে সামান্য ব্যাপার নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে, তারপরও আমরা তদন্ত করে পরবর্তী ফলোআপ জানাতে পারব।