সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্থানীয় সরকারসহ সব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিশাল পরাজয়ের পর বিএনপি নিজেদের সংগঠন গোছানোর কাজে মনোনিবেশ না করে অযথাই নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আজ মঙ্গলবার  সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। এর আগে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বিআরটিসির দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের দ্রুত বিদায় করে দেওয়ার জন্য সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির অধিকার। এটা কোনো সুযোগ না। এ অধিকার তারা যদি প্রয়োগ না করে তাহলে সেটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সেখানে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে তাদের জায়গায় যদি আমরা থাকতাম আমরা নির্বাচনে অংশ নিতাম।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সজ্জন ব্যক্তি উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘মীর্জা ফখরুল বিএনপি মহাসচিব থাকবেন কি থাকবেন না তা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, এপ্রিল মাসের মধ্যে ২০০ এসি বাস, ১০০ নন এসি বাস, ৩০০ দোতলা বাস এবং ৫০০ ট্রাক বিআরটিসির বহরে যোগ হবে। সরকারের এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিআরটিসিকে কেন লাভজনক করা যাচ্ছে না তা খুজে বের করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বিআরটিসিকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে ভূত তাড়াতে হবে। যাত্রা শুরুতে প্রথম রাতে বিড়াল মারতে হবে। কোনো আপস করা চলবে না। করাপ্ট অফিসারদের বাদ দিয়ে দিতে হবে। দুর্নীতির সঙ্গে বিআরটিসিকে যারা সমার্থক করে ফেলেছে তাদের এখানে থাকার অধিকার নেই।’