অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উত্তম জায়গা ও স্পেশাল ইকনোমিক জোনের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল।’

আজ সোমবার কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কেওআইসিএ) প্রেসিডেন্ট লি মিকিউংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

শেরে বাংলানগরস্থ অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে লি মিকিউং জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। তিনি দেশে ফিরে বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন, যাতে বিনিয়োগকারীরা এ দেশে আসেন। ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।

এ সম্পর্কে লি জানান, এক সময় তাঁদের দেশেরও এই অবস্থা ছিল। এটা সমাধানযোগ্য সমস্যা। তাই তিনি দেশে ফিরে কোরিয়ায় যারা এই সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেবেন।

লি জানান, কেওআইসিএ ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের ২৪টি প্রকল্পে ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। এখন চলমান প্রকল্পে ৫৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ১১২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্পর্কে লি মিকিউং বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের সময় যেভাবে বাঙালিরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অবস্থা বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।’ এজন্য সাময়িক সমস্যা হলেও এর সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোরিয়া ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, আইসিটি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি খাতে সহায়তা দিয়ে আসছে। ঢাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে তৈরি হচ্ছে। এটি হলে যানজট কমবে। তা ছাড়া ঢাকা শহরকে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের যাতায়াতের সময় কমাতে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করা হবে। যাতে এক ঘণ্টা ৫ মিনিটে যাতায়াত করা যাবে। এ ছাড়া গ্রামগুলোকে শহরে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, যাতে গ্রামের মানুষকে আর শহরে আসতে না হয়।’ তিনি বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে। একদিকে থাকবে বিদেশি পর্যটক আর অন্যদিকে থাকবে দেশীয় পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত।’