সন্ধ্যায় আটক ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ ভোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বিজিবির দাবি, ওই ব্যক্তি একজন মাদক ব্যবসায়ী।
আজ রোববার ভোররাত সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জালিয়াপাড়ায় বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলেও বিজিবির দাবি।
নিহত মোস্তাক আহমদ (৩৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা। তিনি মুছু নামেও পরিচিত।
টেকনাফ ২ নম্বর বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী দাবি করেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর জালিয়াপাড়া এলাকায় বিজিবি ও পুলিশ যৌথ অভিযানে নামেন। এ সময় মোস্তাক আহমদকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
‘মোস্তাক আহমদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোরে তাঁকে নিয়ে জালিয়াপাড়ায় অভিযানে যায় বিজিবি-পুলিশ। এ সময় পাচারকারীরা বিজিবি-পুলিশকে গুলি করে মোস্তাক আহমদকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি-পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।’
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী আরো দাবি করেন, ‘পরে পাচারকারীরা পিছু হটে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোস্তাক আহমদকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এ ঘটনায় বিজিবি দুই সদস্য ও পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলেও বিজিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে।
এদিকে, বিষয়টি জানতে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।