ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনজনকে আটকে রেখে টাকা ও রুপার অলংকার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, তাঁর দুই কর্মীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম সেওতা এলাকার মো. সোহেল তাঁর ভাগ্নি রোজি বেগম (২৫) ও পূর্বপরিচিত হেনা আক্তার (২৮) নামের এক নারীকে নিয়ে শিবালয়ের আরিচা ঘাটে ঘুরতে যান। বেলা ২টার দিকে ঘাট এলাকায় একটি হোটেলে খাবার শেষে পুরাতন টার্মিনাল এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ছাত্রলীগের নেতা সেলিমসহ কয়েকজন কর্মী তাঁদের আটক করেন। এরপর সোহেলকে মারধর করে ওই দুই নারীসহ স্থানীয় শিবালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে সেলিমসহ ছয়-সাতজন কর্মী সোহেলকে মারধর করে তাঁর জামার পকেটে থাকা চার হাজার ৯১০ টাকা এবং হেনা আক্তারের পা থেকে চার ভরি ওজনের রুপার নূপুর ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। এরপর সোহেলকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সোহেল অভিযোগ করেন, ‘স্কুলের কক্ষে আটকে রেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাগ্নি ও পূর্বপরিচিত ওই নারীকে জড়িয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এরপর আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা আমাকে কিলঘুষি ও লাথি মারেন।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের নেতা সোহেল রেজা বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে পড়ালেখা করি, রাজনীতি করি। এ ধরনের কাজ আমার দ্বারা কি সম্ভব?’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল বলেন, মাস দুয়েক আগে একটি মারধরের ঘটনায় শিবালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফার সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর প্রতি ওই এসআইয়ের ক্ষোভ ছিল। এই ক্ষোভেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। ভুক্তভোগীদের আটকে রেখে মারধর করার বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, আটকে রেখে অর্থ ও অলংকার লুটের অভিযোগে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।