কক্সবাজার-১ আসনের তিনটি স্থানে বিএনপির মিছিলে হামলা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নে আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদের সমর্থনে বের করা মিছিলে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। একই সময় চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বিএনপির মিছিলে হামলার ঘটনায় নয়জন আহত হয়েছে। পৃথক এসব ঘটনায় অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছে। হামলার পর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকে আটক করেছে বিজিবি ও পুলিশ।
এদিকে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যান কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমদ। তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন।
স্থানীয় ও বিএনপির সূত্র মতে, আজ বিকেলে কক্সবাজার-১ আসনের সব ইউনিয়নে মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমদ। ওই মিছিল শুরু হলে উপকূলীয় ইউনিয়ন উজানটিয়া ও মগনামায় প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন সশস্ত্র হামলা চালায়। তারা মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
বিএনপি নেতাদের ভাষ্যমতে, উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা গোদার পাড় এলাকায় ধানের শীষের মিছিল বের করলে মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এই হামলায় জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, সালাহ উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আলী আহসান মুজাহিদ, বিএনপিনেতা এমজারুল, ইয়াছিন আরাফাত, হাসেম, কাইছার হামিদসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়ছার উদ্দিন, শ্রমিক দলনেতা ফোরকান ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
এ ছাড়া মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত মিছিল ফুলতলা স্টেশনে পৌঁছালে মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ও বিজিবি মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী ও ইউনিয়ন যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মাহিনকে আটক করে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতারা সশস্ত্র হামলা করেছে। পুলিশ উল্টো বিভিন্ন বসতঘরে অভিযান চালিয়ে আমার নেতাকর্মীকে আটক করে।
অন্যদিকে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নেও বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওই ঘটনায় আহত নয়জন হলেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৩৫), হারবাং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আজিম (৪৫), যুবদল নেতা শারেক (২০), জিয়া উদ্দিন (১৮), আবদুর রহিম (১৮), শাহেদ (১৫), মিনার (২১), সাইফুল (২১) ও রাজিব (২০)।
ঘটনার পর আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে দেখতে যান হাসিনা আহমদ। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিবাচনী আইনশৃঙ্খলা সেনাবাহিনী মোতায়েন হলেও বিএনপির মিছিলে হামলা কিসের ইঙ্গিত দেয়? তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে এখনই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
হাসিনা আহমদ আবারও নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান।