লাঠিপেটায় বিএনপির প্রার্থী আখতারুজ্জামান আহত
নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুলিশের লাঠিপেটায় কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর ছেলে মো. সাব্বির জামান রনিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের ওপর হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে সাব্বির জামান রনিকে আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে কিশোরঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি এলাকায় বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন প্রচারণা চালানোর সময় পুলিশ অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। আখতারুজ্জামান পুলিশ সদস্যদের নিবৃত্ত করতে গেলে পুলিশ তাঁর ওপর চড়াও হয় এবং লাঠিপেটা করে। এতে আখতারুজ্জামান রঞ্জন আহত হন। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ অস্বীকার করে কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় পুলিশের চার উপপরিদর্শক (এসআই) ও এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত এসআই তরিকুলসহ পাঁচজনই কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
তবে ওসির বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে কটিয়াদীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান গণি সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল রাতে বীর নোয়াকান্দি এলাকায় বিএনপির সমাবেশ ছিল। সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো সমাবেশ ছিল না। কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।