আমাকে বিতর্কিত করতেই প্রপাগান্ডা : ইসি সচিব
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপির আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে বিতর্কিত ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এটি একটি প্রপাগান্ডা। তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান এবং ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের প্রপাগান্ডা না হয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে ৪০তম কমিশন সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এসব কথা জানান।
হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাকে বিতর্কিত করার জন্য, হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য, এক ধরনের চাপ দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজটি করেছে বিএনপি। বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে আগামীকাল ইসির কমিশন সভায় উত্থাপন করব। কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কালকে বসে, আলাপ করে আপনাদের জানাব।’
বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, আপনি রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব ও চটগ্রামের সার্কিট হাউসে নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) জানেন, আমি নির্বাচন কমিশনে প্রতিদিন রাত ৮টা-৯টা পর্যন্ত থাকি। জনপ্রশাসন সচিবসহ অন্যদের নিয়ে বেইলি রোডে আমার বিরুদ্ধে যে বৈঠকে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মিথ্যা।’
হেলালুদ্দীন আহমদ আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সচিব একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডিতে চাকরি করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের আদেশ ও নির্দেশ পালন করেন। কমিশনের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের বাইরে গিয়ে কাজ করার তাঁর আলাদা কোনো সত্তাও নেই।’
চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে একই ধরনের বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সার্কিট হাউসে যাইনি। আমার সঙ্গে জনসংযোগ শাখার যুগ্ম সচিব আসাদ্দুজ্জামান ছিলেন। আমরা দু'জন একত্রে মিলে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি হোটেলে গিয়েছি। হোটেলে ডিনার করেছি। পরদিন সকালে আমি ইউএনডিপি'র প্রোগ্রামে গিয়েছি।’
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চার তলার পিছনের কনফারেন্স রুমে এক গোপন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ, পানিসম্পদ সচিব (শেখ হাসিনার কার্যালয়ের প্রাক্তন ডিজি) কবির বিন আনোয়ার, বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব মহিবুল হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও মহানগরী রিটার্নিং অফিসার আলী আজম, প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-১ (বিচারক কাজী গোলাম রসুলের মেয়ে) কাজী নিশাত রসুল।’
‘এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন র্যাব, ডিএমপি ও কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তারা। রাত সাড়ে ৭টা থেকে আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ মিটিংয়ে সারা দেশের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং সেট-আপ ও প্ল্যান রিভিউ করা হয়। ডিআইজি হাবিব জানায়, পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৩৩টি সিট নৌকার কনফার্ম আছে এবং ৬০-৬৫টিতে কনটেস্ট হবে, বাকি আর কোনো সম্ভাবনা নেই। কাজেই সাংঘাতিক কিছু করা ছাড়া এটি উৎরানো যাবে না’, যোগ করেন রিজভী।