একদিকে প্রচার আর অন্যদিকে সশস্ত্র হামলা : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘একদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে; অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের এলাকায় যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। ঘরোয়া বৈঠক করতে চাইলে সেখানে চলছে সশস্ত্র হামলা। বিএনপির লোক ঘরের ভেতর সভা করতে না পারলেও আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের চোখের সামনে বড় বড় সমাবেশ করছে, নৌকার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘গতকালও নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান বিশাল প্রচারসভা করেছেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নাজমুল হাসান পাপনের পক্ষে মাইকিং করে সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মিছিল করে, সমাবেশ করে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছে।’
‘সিইসির বক্তব্য দলবাজ কর্মকর্তাদের বেপরোয়া করবে’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রশাসন ও পুলিশে কর্মরত বিতর্কিত ও দলবাজ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গতকাল নির্বাচন কমিশনের বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সিইসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভায় বলেছেন, কোনো কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে না। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিতর্কিতদের সরানোর আহ্বানের বিপরীতে সিইসির এ ধরনের বক্তব্য দলবাজ কর্মকর্তাদের আরো বেপরোয়া করে তুলবে।’
গায়েবি মামলার ব্যাপারে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর গায়েবি মামলা দেওয়া হবে না। অথচ এখন অব্যাহতভাবে গায়েবি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই বৈঠকে একজন নির্বাচন কমিশনার সারা দেশে পুলিশের দায়ের করা গায়েবি মামলার বিষয়ে তুমুল আপত্তি তুললেও সেটিকে গ্রাহ্য করা হয়নি। পুলিশের কিছু বিতর্কিত দলবাজ কর্মকর্তার তালিকা নির্বাচন কমিশনে দিলেও সিইসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।’
‘সিইসি পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে বলেন যে, আপনাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। সিইসি তাদের নিশ্চয়তা দেন যে তদন্ত ছাড়া বদলি করা হবে না।’
রিজভী আরো বলেন, ‘এটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট যে দলীয় চেতনায় সাজানো পুলিশ কর্মকর্তাদের কোনো নড়চড় করবে না নির্বাচন কমিশন। সরকারের অনুকূলেই সমতলভূমি নির্মাণ করতে দিনরাত কাজ করছে ইসি।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লাশ নদীতে ভেসে উঠছে, মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হামলা হচ্ছে, রিমান্ডে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আর গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সরকারের দৈনন্দিন কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। অথচ এসব বিষয়ে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বৈঠকে কোনো বক্তব্য উত্থাপন করেননি।’