২৩ দিন পর নালায় মিলল মাদ্রাসাছাত্রের লাশ
নিখোঁজের ২৩ দিন পর কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্র ওবায়দুল্লাহ মুন্নার (১৫) লাশ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথমে স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের দড়িয়াবাজ গ্রামের জামাল হাজির বাড়ির জঙ্গলের কাছে নালা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ওবায়দুল্লাহ মুন্না মধ্য সাহেদল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় সাহেদল ডিএস দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে পড়ত।
আজ জামাল হাজির বাড়ির জঙ্গলের কাছে নালায় দুর্গন্ধ পেয়ে কয়েকজন দেখতে যায়। এ সময় তারা অর্ধগলিত লাশটি দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় সেখানে ছুটে যান মুন্নার বাবা-মাও।
তখন মুন্নার পরনের গেঞ্জি, প্যান্ট ও কোমরের বেল্ট দেখে লাশটি নিজের ছেলের বলে শনাক্ত করেন মা মেহেরা খাতুন। এ সময় নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
মুন্নার স্বজনরা জানায়, গত ১৫ অক্টোবর বিকেলে প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে মুন্না। দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে আর ফিরে আসেনি। পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মুন্নার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুন্নার কোনো খোঁজ না পেয়ে তার বাবা গত ১৭ অক্টোবর হোসেনপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
নিহত মুন্নার বাবা মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার আগে মুন্না অন্যদের সঙ্গে ক্ষেতে ধান কাটে। হঠাৎ তার মোবাইলে একটি ফোন এলে, মুন্না দরিয়াবাজ এলাকার দিকে ছুটে যায়। গভীর রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় নিকট আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও না পেয়ে থানায় জিডি করি।’
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ১৫-২০ দিন আগে খুন করা হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।’