‘সব দল এক হয়েছি, কোনো ফোরটুয়েন্টি চলবে না’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/06/photo-1541507175.jpg)
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনে চুরি করেছে সরকার। কোনো নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারেনি। ৫ জানুয়ারি মার্কা আর কোনো ফোরটুয়েন্টি চলবে না। আমরা গণতন্ত্র চাই বলে, এখানে সব দল এক হয়েছি। তাই আর কোনো ফোরটুয়েন্টি চলবে না জনগণের সাথে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এক সাথে দুই সংসদ চলতে পারে না। সংসদ ভেঙে দিতে হবে।’
সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে মান্না বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব চলবে না। নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। তাদের গ্রেপ্তার করা চলবে না।’
মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, ‘সংলাপে যখন গিয়েছিলাম, তখনো বলেছি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে। তখন শেখ হাসিনা বললেন, যাদের নামে মামলা আছে তাদের তালিকা দেন। তখন মির্জা ফখরুল বললেন, কার হাতে তালিকা দিব? উনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার হাতে তালিকা আসতে কতদিন লাগবে? প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন। কিন্তু এখনো গ্রেপ্তার চলছে। আর কথায় কথায় চলবে না। লিখিত দিতে হবে। সংলাপের পর আর একটা নেতাকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা চলবে না। এসব বাদ দিতে হবে।’
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সরকার মেরে ফেলতে চায় ৷ খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন হবে না। নিজের জীবন দিব, তাও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবই।’
এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দিলে মান্না বলেন, ‘এ স্লোগানের ছবি, ভিডিও, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিন। যাতে দেখতে পারে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে কত মানুষ জীবন দিতে রাজি।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, ‘আপনারা ওপরের নির্দেশ মানেন, তা আমরা জানি। এখন থেকে আর শুনতে হবে না। জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে, তাদের বিরুদ্ধে যাবেন না।’
আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আবারও সংলাপে বসবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ বিষয়ে মান্না বলেন, ‘আমরা কাল আবার আলোচনা করতে যাব। যদি আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় না হয়, তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথ প্রকম্পিত করে দাবি আদায় করা হবে।’
সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিসহ সাত দফা দাবিতে ওই জনসভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মুনসুর আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন, সেলিমা রহমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. সুকোমল বড়ুয়া, আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।