ফের ক্ষমতায় ফিরে বাকি কাজ করতে চান প্রধানমন্ত্রী
জনসাধারণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সামনেই নির্বাচন, আমাদের মেয়াদ এখন শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে...। আমরা জনগণের কাছে যাব এবং তাদের কাছে ভোট চাইব।’
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৯৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ৫৬টি জেলায় ২৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রীর এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় ফিরে এসে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য দেশের জনগণকে আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
২০০১ থেকে ২০০৮ সালের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ সাল-পরবর্তী সময়ের মতো সেটি আরেকটি অন্ধকার যুগ ছিল। সে সময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিস্তার, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, আওয়ামী লীগ এমপি ও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা ছাড়াও দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করে এবং জনগণ তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিরোধিতা করার নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের নৃশংসতার কথা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) মানুষকে পেট্রলবোমা মেরে পুড়িয়ে মারে, সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করে... জনগণ দেখেছে তারা কী ভয়াবহ অপকর্ম চালিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯২ দিন বিএনপি-জামায়াত জোট আবার ‘আগুন সন্ত্রাস’ শুরু করে মানুষকে হত্যা এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) ৫০০ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় এবং প্রায় তিন হাজার ৮০০ জনকে হত্যা করে।
সে সময় সব বৈষম্য ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষের জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন হয়েছে... তাদের জীবনে আরো উন্নতি হবে... আমরা সেটি চাই, আমরা সে জন্য কাজ করছি।’
অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত জোন হিসেবে ঘোষণা করেন, কারণ এ ধরনের অপরাধে জড়িত সব দল ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি আত্মসমর্পণকারী প্রত্যেককে সরকার এক লাখ টাকা প্রদান করেছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাগেরহাটের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সব রকম সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।