খুলনা-৩ আসনে আলোচনায় সাবেক দুই ছাত্রনেতা

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক দুই ছাত্রনেতা।
তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল। এরই মধ্যে এ দুই নেতা এলাকায় প্যানা ফেস্টুনে নিজেদের ছবি দিয়ে দলীয় প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।
বিগত দিনের নির্বাচনগুলোতে বিএনপির সাবেক হুইপ শ্রমিক নেতা আশরাফ হোসেন বেশিরভাগ সময় এখানে জিতেছেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন আবার আসনটি পুনরুদ্ধার করলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এই আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সবশেষ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করে দলের হাইকমান্ডের নজর কেড়েছেন বলে এস এম কামাল হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন। তিনি খুলনা-৩ আসনের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করছেন এবং এরই মধ্যে এলাকায় একটি ভিত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
খুলনা-৩ আসনে বিএনপির সাবেক নেতা আশরাফ হোসেন দলে ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় বিএনপিতে ফিরে এসে কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম দ্বিতীয় দফা দলীয় মনোনয়ন চাইছেন।
আর বিগত বছর দেড়েক ধরে প্যানা ফেস্টুনে এলাকা ভাসিয়ে নিজের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এলাকা ত্যাগ করেন বকুল। পরে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে গণসংযোগে আসেননি তিনি। সম্প্রতি রকিবুল ইসলাম বকুলের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার বিষয়টি দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
আগে খুলনা-৩ আসনটি মূলত শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত থাকলেও এখন শ্রমিক সংখ্যা কমে গিয়ে সেই হিসাবনিকাশ পাল্টে গিয়েছে।
বিএনপিতে রফিকুল ইসলাম বকুল বাদে আরো তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন সাবেক সাংসদ কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সাবেক ছাত্রদল নেতা আরিফুর রহমান মিঠু ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম।