সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে রাখবে ইসি
আগামী ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে ইসি। ওই সময় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবেন পাঁচ নির্বাচন কমিশনার। একই সঙ্গে আগামীতে কোনো পরিস্থিতিতে যদি সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন পড়ে তার প্রস্তুতি হিসেবে আগাম সেনা চেয়ে রাখবে ইসি।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানান।
এদিকে আজ সোমবার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। ভোটারদের আস্থা আনার জন্য অথবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যদি প্রয়োজন হয় সেনাবাহিনী মোতায়েনের, আমরা করব।’
এর আগে রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘কোনোভাবেই যদি সংসদ নির্বাচনের আগে বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রপতিকে এই ব্যাপারে অবহিত করব। প্রয়োজন পড়লে যাতে যখন তখন ব্যবহার করা যায় সেজন্য আগাম সেনা চেয়েও রাখা হবে। কারণ তাঁর (রাষ্ট্রপতি) সঙ্গে তো বারবার সাক্ষাতের সুযোগ মেলে না।
এই কমিশনার বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাব বঙ্গভবনে। ওই দিন নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা হবে। আমরা এখুনি ভাবছি না যে, সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হবে। কিন্তু হঠাৎ করে যদি নির্বাচনী পরিবেশ বাজে হয়ে উঠে তখন তো সেনা মোতায়েনের দরকার হতে পারে। এজন্য আমরা আগে থেকেই রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে রাখব এবং চেয়ে রাখব।’
এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে আরো কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে- এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তফসিল ঘোষণা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হতে পারে। আমরা (সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার) সমগ্র নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলব। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকে এই পর্যন্ত যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছি সেই নির্বাচনগুলো কেমন হয়েছে, নির্বাচনগুলোতে কমিশন কী ধরনের সমস্যাবোধ করেছে এবং কী ধরনের শঙ্কাবোধ ছিল— এসব নিয়ে কথা বলব। নির্বাচনগুলোতে আরো কী কী করা যেত এবং করা উচিত ছিল— এসব নিয়েও কথা হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বর্তমান যে কাঠামো আছে সেই কাঠামো কেমন, কাঠামোতে কী ধরনের সুবিধা আমরা পাচ্ছি অথবা কী ধরনের অসুবিধা দেখছি, কাঠামোর কোনো দিক পরিবর্তন করা প্রয়োজন কি না, এ ছাড়া আইন সংক্রান্ত জটিলটাসহ সংসদ নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে প্রস্তুতির কথাও আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানাব। এককথায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের যা যা কথা আছে সবই বলব।’