মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শাজাহান খান
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আজ সোমবারের নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। মন্ত্রিসভার বৈঠকে শাজাহান খানের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুনেছি তাঁর (শাজাহান খান) একজন আত্মীয় মারা গেছেন। তিনি সেখানে গেছেন।’
মন্ত্রিসভায় পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ধরনের কোনো এজেন্ডা ছিল না। তা ছাড়া শ্রমিক আন্দোলন কিংবা পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনাও হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে শ্রমিকদের টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে সারা দেশের শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সবচেয়ে বড় মোর্চা সংগঠন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এ সংগঠনের প্রধান নেতা ও সরকারের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এ আন্দোলনের বিষয়ে বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
সপ্তাহিক দুদিনের ছুটি শেষে কর্মদিবসের প্রথম দিন গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু হয়। আজ সোমবার হচ্ছে পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, রাজধানীর হাজার হাজার মানুষ দিনভর হেঁটে কার্যক্ষেত্রে চলছেন। বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইডশেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও-উবারের মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন অনেকে।
মোটরসাইকেলের চালক, ব্যক্তিগত গাড়ির চালক কিংবা আরোহীদের মুখেও পোড়া মবিল মেখে দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় নামা শ্রমিকরা। এরই মধ্যে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে।
ধর্মঘটকারী শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সড়ক দুর্ঘটনার সব অপরাধ জামিনযোগ্য করা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল করা, সড়ক দুর্ঘটনায় গঠিত যেকোনো তদন্ত কমিটিতে ফেডারেশনের প্রতিনিধি রাখা, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি নির্ধারণ এবং সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর শ্রমিক ফেডারেশন সিদ্ধান্ত নেয়, সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারসহ আট দফা দাবি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে পূরণ না হলে ২৮ অক্টোবর থেকে দুদিনের কর্মবিরতিতে যাবে শ্রমিকরা।